বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ

Bangabandhu Inter University Sports Championship

যুবসমাজ দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। দেশে বর্তমানে প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ তরুণ, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের “সোনার বাংলা”, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে প্রধানতম শক্তি হচ্ছে এই তরুন যুবসমাজ। দেশের এই তারুণ্যের শক্তিকে উদ্যমী, কর্মস্পৃহ, সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতি বছর আমরা একটি সুনির্দিষ্ট বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে “বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্প” আয়োজন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশের তরুণ যুবসমাজের প্রাণশক্তিকে সামাজিক চালিকাশক্তি হিসেবে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সেই লক্ষ্যে, বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করে তারুণ্যের উদ্যম ও উদ্দীপনায় উদ্দীপ্ত হয়ে আজকের তারুণ্য সুস্থ বিনোদনের সংস্কৃতি তৈরি করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

অংশগ্রহণকারী দেশের সকল পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক বিজয়ী বিশ্ববিদ্যালয়কে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ঘোষণা করে এক বছরের জন্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করা হবে।

সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক বিজয়ী পুরুষ ক্রীড়াবিদকে বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ক্রীড়াবিদ, পুরুষ পদকে ভূষিত করা হবে।

সর্বোচ্চ স্বর্ণপদক বিজয়ী নারী ক্রীড়াবিদকে বিশ্ববিদ্যালয় সেরা ক্রীড়াবিদ, নারী পদকে ভূষিত করা হবে।

প্রত্যেক ইভেন্টের সেরা ৩ জন হিসেবে মোট ১৪৪ জন বিজয়ী ক্রীড়াবিদকে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদকে ভূষিত করা হবে।

বাংলাদেশে ১৫০ টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ লাখ ছাত্র-ছাত্রীর জন্য এই আয়োজন উন্মুক্ত। সকল ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রী এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।

তারুণ্যের প্রাণশক্তিতে বলীয়ান হয়ে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে নিম্নে উল্লেখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ এর ৩য় আসর আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছেঃ

  • দেশের তরুণসমাজের প্রাণশক্তিকে সামাজিক চালিকাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা।
  • শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশ, সহিষ্ণুতা, মনোবল বৃদ্ধি ও খেলাধুলায় উৎসাহী করে গড়ে তোলা।
  • ক্রীড়া চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে জাতির পিতার আদর্শে একটি সুস্থ-সবল জাতি গঠনে তরুণদের অনুপ্রাণিত করা।
  • সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক সেতু বন্ধন তৈরি করা।
  • ক্রীড়াবান্ধব ও উদ্যমী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে তুলে ধরা এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী মুখ খুঁজে বের করা।
  • বঙ্গবন্ধুর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনে দেশের যুব সমাজকে অগ্রণী সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলা।
  • বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উৎসর্গীকৃত এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করা।

বাস্তবায়নে

স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট

মানবিকতার উদ্বোধনে সৃজনশীলতা

স্পেলবাউন্ড কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে তারুণ্যকে উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজ ও বিশ্বের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে বর্তমানে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সমমনা বিজ্ঞাপনী সংস্থা লিও বার্নেট-এর সাথে। আমরা বিশ্বাস করি, যুবসমাজের মননশীলতা ও সৃজনশীলতার বিকাশের মানবিকতার উন্মেষ এবং সমাজের গুণগত ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মননশীলতা ও সৃজনশীলতার পরিচয় পাওয়া যায় তাঁর কৈশোরকাল থেকেই। ক্রীড়ার প্রতি অনুরাগ তাঁর এই প্রাণশক্তির প্রমাণ। ক্রীড়াপ্রেমী বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সৃজনশীল প্রাণশক্তি ও তারুণ্যের শক্তিতে বাংলাদেশের তরুণসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর মাধ্যমে আমাদের এই উদ্যোগ বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ।

দেশের যুবসমাজকে শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবার জন্য প্রস্তুত করে গড়ে তুলতে এ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়, যা ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত আয়োজিত হয়। বিগত ২ আসরের অভিজ্ঞতা ও সাফল্য নিয়ে এ বছর আরও বৃহৎ কলবরে আমরা আয়োজন করছি বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ এর ৩য় আসর।

দেশের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া আয়োজন ’বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ’ এ তারুণ্যের চেতনার জয়গানে মুখরিত হোক আগামীর বাংলাদেশ